sohel-msr.blogspot.com
It is a open blog for all.Everyone can join here and share anything.
সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৩
সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১১
কবিতা
১০ /০৪ / ২০১১
লাল সবুজ
লাল সবুজ মানে
একটি পতাকা
লাল সবুজ মানে
একটি স্বাধীনতা
লাল সবুজ মানে
একটি প্রীতি কবিতা
লাল সবুজ মানে
মন গহিনে আকন্ঠ ভালবাসা
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১১
কবিতা
05/04/2009
‡mvbvjx ‰kke
iw³g Avfvq
gyg~l©~ ü`q wb_i G †`n g„Z cÖvq|
¯^R‡bi AvnvRvwi-K‡jgvLvwb
GB eywS hvq hvq Wv½vq grm¨ †hiƒc Lvwe LvB|
gi‡biB †nvK Rq G bq †gvi civRq
iBe ¯^‡`k gvZ…Kvq gweqvI A¶q|
evi evi g‡b Pvq GKUz Lvwb wd‡i hvq ˆkke-M½vq
KLb hv ïK‡bv PviY fywg ivLvj †Mv Pivq
KlbI Avevi A‰_ Rjavivq fvwm‡q †`q Gcvi Icvi|
Zz”Q K‡i kZ eKzwb `vgvj †Q‡ji `j nvZ-cv Zey AvQovq|
gi‡b‡i wK‡mi fq Wy‡e Wy‡e nvZivq
kvgyK-wSbyK KB UvwK KZ wK †h Luy‡R cvq
Rxeb b`xi †gvnbvq KZ ¯§„wZB AvR Luy‡R †d‡i Avgvq|
‡R¨vrmœv fiv iv‡Z †RvbvwKi wUc wUc Av‡jvq
iƒcK_vi evb †W‡K hvq wSu wSu †cvKv Mvq
evjK-evwjKvi `j ¯^cœv‡jv‡K †f‡m hvq wek¦vm evwoi AvwObvq|
‡Lvjv AvKvk cv‡b Pvq iƒcvwj Av‡jvi SjKvwb UzKz cvq
iƒcK_vi ivRKb¨v †NvUK-evj‡Ki †m mnhvÎxiv †Zv bvB|
Rxeb mvqv‡ý g‡b c‡o G Aciv‡ý
iwOb my‡Zvi jvUvB nv‡Z nvwi‡q hvIqv ˆkke-†ejv|
WvDU-wPwj, gvbyl Nywo
my‡Zv KvUvKvwU Avi †LvuRvLuywRi wgwó gayi †Ljv|
‰ekvLx iv‡Z GKjv N‡i fq †c‡q hvq e‡Rªi †Zv‡o
Nyg fv‡O gyqvw¾‡bi my‡i wK K‡i Gjvg gv‡qi N‡i
cÖZzˇi ‡KejB gv‡qi f~eb ivOv‡bv nvwm-B S‡i
Kfy wK cve †m †mvbvjx ˆkke †hŠeb e`j K‡i ?
পছন্দের মুভি
Titanic, Avatar, 3 Idiots,
বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১১
kobita
‡gv t †mv‡nj ivbv
we.Gm.wm Abvm©© ( imvqb ),
Kzwóqv miKvix K‡jR , Kzwóqv|
cÖ_g Av‡jv eÜz mfv t eÜz bs-30461
m`m¨ t Kzwóqv mvwnZ¨ GKv‡Wgx, Kzwóqv|
eZ©gvb wVKvbv t
gv‡qi AvuPj
3q Zjv ( `w¶Y eK )
244/5,gxi †gvmvid †nv‡mb †ivW,
bZzb †KvU© cvov, Kywóqv-7000|
‡gvevBj t +8801714767334
+8801919897197
B-‡gBj t sohel.kus.bd@gmail.com
‰ekvLx So
Mi‡R †gN Kvwjgq Pvwiw`K
GB eywS G‡jv ˆekvLx So
ZviB Db¥v`bvq Lywk‡Z D‡o D‡o hvq a~‡jv-evwj-Lo|
Avwg A‡eva n‡qwQ AvR wb‡e©va
bv cvwi cÖK…wZi gv‡S nvwi‡q †h‡Z
bv cvwi Qvwo‡Z G Ni!
Pvi ‡`qv‡ji gv‡S e‡m iB G‡Kjv
evwn‡i Avgvwi Pvwi av‡i
cÖK„wZ Avcb g‡b †Lwj‡Q †Ljv|
Uvcyi-Uzcyi, Uvcyi-Uzcyi e„wói Q‡›`
‰ekvLx S‡oi ev`j w`‡b
Avbg‡b Av¤ª e‡b evwjKvi `j
Av¤ª Kzovq cigvb‡›` !
AvwR G ¶‡Y n‡qwQ ew›`
Avwg wbR©b N‡ii GK †Kv‡Y|
evwn‡i Rj-nvIqv e‡q hvB
ZviB wKQz Avfv cvq
Avbg‡b `y evû evovq-
‡Kv_vq †hb nvwi‡q hvB `~i AvKv‡ki
bxj mxgvbvq|
০৫/০৩/২০০৯
iƒc Kzgvix
‰P‡Îi †iŠ`ªgvLv K¬všZ `ycyi
K¬všZ kni;
a~-a~~gq Pvwiw`K
`wLbv nvIqvq gb Ryovq;
gb gvZvq Amxg gayiZvq
AvjZv iwOb cvÕq bycyi †hb wb°vq|
av‡bi kx‡m †iŠ`ª-Qvqv †XD †L‡j hvq
†mvbvSiv †iŠÏyi †hb gb gvZvq-
nxiK Siv gi“Zvq|
†KvwK‡ji gyûgy©û KûZvq
K¬všZ gvwS bvI †e‡q hvB
Zey-fvwUqvwj-gywk©w` †M‡q hvB
wK †gŠbZvq iyc Kzgvix G evsjvq|
১২ / ০৬ /২০০৯
AZmx
AZmx Zywg GK cjxevjv bvix
nq ‡Zv n‡Z cvi‡Z RjKb¨v
bB ‡Zv `xNj-†Kkx c•L‡ekx
†Kvb GK ¯^cœ-Wvbvi cix!
jjv‡U hvi wZjK Gu‡K hvB-
P›`ª‡`‡ki eywo|
†Kvb GK wZwgi iv‡Z wcw`g nv‡Z
G‡j G aiv‡Z msmv‡ii Avavi †NvuPv‡Z|
m~h© D‡V Avavi Uz‡U
wewflxKvi ivwÎ Qz‡U wfbœ †`‡k|
GKUz hvnvi nuvwmi QUvq
Avavi †K‡U Av‡jvi evb
†W‡K hvq aivi ey‡K
†m-B AZmx AvQ Zywg AvR KZUv my‡L?
my‡Li Z‡i †h bvweK Zix †fovq †Kvb my`~‡i
†dj‡Zv bv-†Zv my‡Li †bvOi `~i wKbv‡i-
hw` Zvi _vKZ Rvbv myL i‡q‡Q
Zvi-B N‡i fxlY Abv`‡i|
খুজি
১৬ /০৪ /২০১১
LuywR
†mv‡nj ivbv
AvKvk Ry‡o bx‡ji gv‡S
‡P‡q _vwK AšZnxb-
wew”Qbœ-we¯Z…Z mv`v †avuqvkv m`„k
‡gNivwRi wePiY Db¥v`bvq
`„wói mxgvšZ Qvwc‡q
mvMi-gnvmvMi wWwO‡q
LuywR; LuywR c~wb©gv Av‡jvwKZ
mviv wbwk|
aª“e Zvivi g‡Zv wgwU wgwU
Av‡jvQvqvi wcw`g †iLv †R¡‡j
AveQv Av‡jvq nvwi‡q
LyuwR; LuywR evisevi †Zvgvq|
‡RvbvK-R¡jv iv‡Zi †k‡l
Qwo‡q cov ¯^Y©vjx Av‡jvK †iLvi gv‡S
LuywR; LuywR m~h©w`ß
K¬všZ `ycy‡i wKsev cošZ we‡K‡ji
w`MšZ †iLvq|
লেবেলসমূহ:
খুজি
অবস্থান:kushtia
Mirpur, বাংলাদেশ
মা কে চাই মায়ের লাশ কে নয়
আব্বু আসার আগেই নাফিজা এসে পড়ল। কি হলো এমন চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করছিস কেন ? দেখ না আপু আম্মুর কাঁশিটা আবার বেড়েছে। আব্বুকে বল না আম্মুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। হ্যাঁ আম্মু নাফিস ঠিকই বলেছে এবার তোমাকে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে । তোরা এতো ব্যস্ত হচ্ছিস কেন ? আমার কিচ্ছু হয়নি। মানুষের একটু আধটু কাশি হতে পারে না। দেখি না আর কটা দিন। তাছাড়া এখন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার মতো এতো টাকাই বা তোদের আব্বুর কাছে কই। আজ তোর আর নাফিসের স্কুলের বেতনের শেষ তারিখ। নাফিস বলে উঠলো আমার বেতন দেয়া লাগবে না। তুমি আব্বুর সাথে ডাক্তারের কাছে যাও।
অনেক পণ্ডিতি হয়েছে আই এবার খেয়ে নে স্কুলের সময় হয়ে গেল। নাফিস কে আগে দাও ওর পি.এস.সি প্রস্তুতি ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। আমার একটু দেরি হলেও সমস্যা হবে না। তোর আব্বুটা আবার কোথায় গেল। সে খাবে না নাকি। আমাকে দেখলে তো আবার তার গা জ্বলে। কি পাপ যে করেছি তার কাছে ! আমার আর এসব ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে মনে হয় দুচোখ যেদিকে যাই সেদিকে চলে যাই না হয় অন্য কিছু একটা করে ফেলি। শুধু পারি না তোদের মুখের দিকে তাকিয়ে। তোরা মাতৃহারা হয়ে যাবি তাই। আম্মু তুমি আবার ...।
খাওয়া ছেড়ে কাঁদতে শুরু করলি কেন আবার তোরা। নাফিস মায়ের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে আম্মু কোথায় যাবে তুমি ? আমাকে নেবে না ? কি করে নেব বাবা সব জায়গায় কি নেয়া যায় ? নাফিস বাপ আমার আমি যদি দুরে কোথায় হারিয়ে যাই আমাকে ছাড়া থাকতে পারবি না বাবা ? তোর তো আরেকটা আম্মু আছেই সেই তোদের দেখা শোনা করবে। নাফিস কেঁদে ফেলল, না আমি কারো কাছে যেতে পারব না। আম্মু তুমি আবার শুরু করলে। তুমি না খুব খুব খারাপ আম্মু। এসব বলে আমাদের শুধু কষ্ট দাও কেন? নাফিজা বলল।
নাফিস কে স্কুলের কাপড়-চোপড় পড়িয়ে বিদায় দিয়ে নাফিজাও স্কুলে রওনা দিল। কিছুক্ষণ বাদে মোকাদ্দেস মানে নাফিসের বাবা ফিরল। তা কোথায় ছিলেন এতক্ষণ ? বাড়িতে যে এতো কাজ থাকে সে হিসাব আছে। কোন হিসাবী মানুষ কি এভাবে বাড়ি ছেড়ে দিনের পর দিন থাকতে পারে। আর আপনার আবার বাড়ির হিসাব কি ? আপনার তো আরেকটা বাড়ি-সংসার হয়েছে। আমার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। বাড়িতে যে দুটো ছেলে-মেয়ে আছে। তাদের পড়া-শুনার খরচ আছে সে হিসাব কি আপনার আছে।
ঐ ফকিন্নির বেটী বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই তোর এতো হিসাব-নিকাশ কেন ? আমার ছেলে-মেয়ের হিসাব আমি করবো। তোর এতো হিসাব কেন ? আর একবার যদি সংসারের হিসাব আমাকে দেখাতে আসিস তো তোর একদিন কি আমার একদিন। দরকার হয় তোকে খুন করে সারাজীবন জেলে কাটাব। এমনিতেই আজ আমার মাথা গরম। মাথা গরম করাবি না কিন্তু। সংসারের হিসাব করলেই তোমার মাথা গরম হয়ে যায় না। সংসারটা কি খালি আমার একা। আমার হয়েছে যত যন্ত্রণা। আল্লাহ্ আমার মরণও তো করে না। সারাদিন মদ খাওয়া, জুয়া খেলা আর বাড়িতে এসে মাথা গরম করা বুঝি না মনে করেছ ? এতো বড় কথা দেখিতো বেটী তোর একদিন কি আমার একদিন।
নাফিস ক্লাসে পড়া-শুনা নিয়ে ব্যস্ত বাড়ির কথা আর মনে নেই কিন্তু নাফিজার মনটা কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে। পড়া-শুনায় কিছুতেই মন বসছে না। হঠাৎ ক্লাসের ঘণ্টার শব্দে বুকের মধ্যে ছনাৎ করে উঠলো। কোন কিছুই ভালো লাগছে না তার। এমন সময় এক স্যার এসে বলল, নাফিজা বই-খাতা নিয়ে বাইরে এসো। মুহূর্তে নাফিজার মনটা উথাল-পাতাল করতে লাগল। অজানা শঙ্কা কাজ করতে লাগল তার মনে। ব্যাকুল কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল স্যার কিছু হয়েছে নাকি? স্যার বললেন তেমন কিছু না তোমার মায়ের শরীরটা নাকি একটু খারাপ। স্যার শম্পাকে ডেকে বলল তুমি ওর সাথে যাও। ওরা বেরোনোর পরই স্কুল সেদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করলেন প্রধান শিক্ষক।
এদিকে নাফিসকে স্যার ডেকে বললেন তোমার চাচা এসেছেন তোমাকে নিতে আজ তোমার ছুটি। ছুটির কথা শুনেই নাফিসের মার কথা মনে পড়ে গেল। তাহলে তো স্যার ভালোই হলো মার শরীরটা আজ ভালো না এখনই মার কাছে যেতে পারব। কথাটা শুনার পর স্যারের চোখ দুটো ছলছল হয়ে গেল। স্যার ছোট্ট নাফিসের মাকে নিয়ে কষ্টের কথা চিন্তা করে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন।
নাফিসের দাদা যিনি খুব ছোট কালে খুব সখ করে ছেলের বউ করে এনেছিলেন নাফিসের মাকে। তাই সে তাকে মেয়ের মতোই ভালবাসতেন। মা বলে ডাকতেন। সে আবার খুব ধার্মিক মানুষ। বছরের অর্ধেকটা সময় ধর্ম প্রচারে বাইরে বাইরে থাকেন। তাই সব সময় নাফিসদের খোঁজ-খবর রাখতে পারেন না। তার কাছেও সেদিন হঠাৎ একটা ফোন আসল যে আপনাকে এখনই একবার বাড়িতে আসতে হবে। কারণ জানতে দেয়া হলো না। তার মনেও এক অদৃশ্য শঙ্কা বিরাজ করতে লাগল। কি হতে পারে বাড়িতে? ভাবতে ভাবতে অস্থির হয়ে গেলেন তিনি। তার বুকের মধ্যে কেমন যেন করতে লাগল। সারা শরীর ঘামতে লাগল। হৃদ কম্পন হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে আরম্ভ করলো। হাত-পা অবশ হয়ে যেতে লাগল। সব কিছুকে এলো মেলো মনে হতে লাগল।
সবে মাত্র বাস থেকে নামলেন দাদা। ঠিক তখনই একজন এসে বললেন চাচা আপনার বাড়ির খবর শুনেছেন নাকি? দাদার অস্থিরতা আরও বেড়ে গেল। জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে বাবা আমার বাড়িতে? কেন আপনার নাফিসের মা আজ সকালে মারা গেছে শোনেন নি? আপনাকে বলেনি কেউ? শোনামাত্র দাদা হতভম্ব হয়ে গেলেন শুধু একবার বললেন, কি? তারপর কেমন যেন অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করলেন উন্মাদের মতো। তার মস্তিষ্কে প্রচণ্ড রক্তক্ষণের কারণে তার এক পাশ অবশ হয়ে গেল। কথা অস্পষ্ট হয়ে গেল। চলার শক্তি হারিয়ে ফেললেন। পরিচিত অপরিচিত কাউকেই আর ঠিকমত চিনতে পারলেন না। পাগলের মতো বিলাপ শুরু করলেন। যা আর আমৃত্যু স্বাভাবিক হলো না।
নাফিসের স্কুল গ্রামেই হওয়ায় নাফিজার আগেই বাড়ি পৌঁছল সে। আঙিনায় প্রবেশ পথে প্রচণ্ড ভিড় দেখে কিছু বুঝে উঠতে পারল না সে। সবাই থ মেরে বসে আছে। চাপা কান্নার শব্দ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। চির চেনা আবাস যেন অচেনা মনে হচ্ছে। হাতে থাকা ললিপপ অজান্তেই মাটি পড়ে গেল বুঝতেও পারল না নাফিস। এক মহিলা বুকে জড়িয়ে বিলাপ করতে লাগলেন, এ দুধের শিশুটার মুখের দিকেও চেয়ে দেখলি না একবার। কি করে পারলি এটা ? নাফিস কিছু না বুঝেই কান্না দেখে কাঁদতে শুরু করল। বারান্দায় মাকে চাঁদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখে ছুটে গেল মায়ের কাছে। কি হয়েছে আমার আম্মুর। আম্মু....আম্মু...। কথা বলছে না কেন আমার আম্মু ? আমার আম্মুর কি হয়েছে ? তোমরা আমার আম্মুকে কথা বলতে বল। আমার ক্ষুধা লেগেছে খাবার দিতে বল আমার আম্মুকে?
বাড়ির থমথমে পরিবেশ দেখে নাফিজার মনের শঙ্কাটা আরো বেড়ে গেল। শম্পা নাফিজাকে এটা ওটা বলে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করল। নাফিজা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, তোরা বলছিস না কেন কি হয়েছে। তোরা কি আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিস নাকি ? তোরা আমার ধৈর্যের পরীক্ষা আর নিস না। তোরা না বললেও আমি বুঝতে পারছি কিছু একটা হয়েছে। বাড়ির উঠানে ঢুকতেই এক গাদা লোক বিলাপ করছে আর কান্নার ধ্বনি কানে আসতে লাগল নাফিজার। এক চাচি এসে নাফিজাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল তোর মা আর নেই। তোদের আর আদর করে খেতে ডাকবে না। কাঁদিস না মা আমরা তো আছি। এখন থেকে আমরাই তোদের আম্মু। চল দেখবি না মায়ের মুখটা শেষবারের মতো। নাফিজার মুখ থেকে আর কোন কথায় বেরোল না। চোখ বয়ে অঝরে নোনা জল ঝরতে লাগল। তার সব কথা যেন অশ্রু হয়ে ঝরতে লাগল। কোন ভাবেই তাকে তার মায়ের কাছে নেওয়া গেল না। তার দৃষ্টি যেন দূরে কোথাও। সে তার মাকে দেখতে চাই। মায়ের লাশকে নয়। লাশ দিয়ে সে কি করবে। তার মাকে চাই। আর কিছু নয়
প্রজাতি
লেখক : সোহেল রানা
রাস্তার মাঝে প্রচণ্ড ভিড় দেখে হঠাৎ-ই থেমে পড়লাম। ভিড় গলে বিষয়টা বুঝতে বেশ সময় লাগল। গাড়ির হর্ন আর মানুষের চাপে বিষম যন্ত্রণা। যানজট সামাল দিতে ট্রাফিকের নাভিশ্বাস অবস্থা। তবু যেন কেউ কাউকে কিছুই বলতেও পারছে না। উঁকি ঝুঁকি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম ঘটনাটা কি? একজন বলল সম্ভবত একটা দুর্ঘটনা। সামনে এগোতেই জানলাম একটা বাচ্চা মেয়ে নাকি অঝরে কাঁদছে। কেন কি কারণে কেউ বলতে পারছে না। তাকে কেউ সেখান থেকে সরাতেও পারছে না।
ক্লিক ক্লিক শব্দে বুঝতে পারলাম সাংবাদিকও জুটে গেছে। কাছে গিয়ে দেখলাম একটি পাঁচ কি ছয় বছরের মেয়ে কেঁদে চলেছে অবিরাম। জিজ্ঞেস করলাম কে তুমি ? কি নাম তোমার ? বাবার নাম কি ? বাসা কোথায় ? আধো আধো গলায় সব প্রশ্নের একটাই উত্তর- প্রজাতি! মুশকিলটা হল এখানেই। সবাই ধরে নিলো মেয়েটার নাম প্রজাতি। আর কিছুই সে বলে না। শুধু-ই কাঁদে।
কাঁধের ব্যাগ হাতড়ে স্কুলের নাম আর একটা ছোট্ট চিরকুটে তার মায়ের ফোন নাম্বার পাওয়া গেল। অগত্যা বাঁচা গেল। কিছুক্ষণ পর সকুলের ম্যাডাম ও খানিক বাদেই হন্ত-দন্ত হয়ে মেয়েটির মা আসলে বিষয়টা জানা গেল। মেয়েটার নাম অনতি। প্রজাপতি তার ভীষণ প্রিয়। প্রজাপতির গল্প শোনা আর আঁকা তার প্রধান কাজ। আজ ক্লাসে ম্যাডাম যখন প্রজাপতির ছবি আঁকতে বলে তখনই তার মনে পড়ে আসার সময় রাস্তার পাশে একটি প্রজাপতিকে দেখেছিল পাখনা ভাঙা অবস্থায়। অনেক কেঁদে কেটেও নির্দয় স্কুল-ভ্যান চালকের অনুমতি পায়নি শুশ্রূষা করার। বোঝাতে পারেনি ম্যাডামকেও তার মনের কষ্টটা। তাই তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে টিফিনের জন্য।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহরটি আসতেই আর দেরি করেনি সে। রাস্তা পারাপারের ভয় বা ম্যাডাম কিংবা ভ্যান চালকের হুমকি কোন কিছুই আর তাকে আটকাতে পারেনি। কিন্তু ততক্ষণে যে তার প্রজাতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাফাতে হাফাতে যখন পৌঁছল অন্তি ততক্ষণে তার প্রিয় প্রজাতি পৃথিবীর মায়া যে ত্যাগ করেছে সেটা তার অবুঝ হৃদয় বুঝতে পারল না। মা যখন দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চেয়ে প্রার্থনা করত অন্তি মাকে বলত এটা করলে কি হয় আম্মু ! মা তখন তার গালে চুমু এঁকে বলতেন বড় হলে বুজবি রে মা। আজ সে কখন যে তার অজান্তেই কতবার আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছে তা নিজেও বুঝতে পারেনি সে।
এ্যাম্বুলেন্স এ্যাম্বুলেন্স করে চিৎকার করেছে। কেউ শোনেনি তার অসহায় আর্তনাদ। কেউ বোঝেনি তার ছোট্ট মনের ব্যাকুলতা। ছেলে-মানুষের ছেলে খেলা হিসেবে অট্টহাসি হেসেছে। কেউ কেউ আবার বলেছে আহা রে বাচ্চা মেয়েটা রাস্তার মাঝে খেলা করছে দেখার কেউ নেই। বাবা মা'য় বা কেমন। অনেকেই ভাবছে সে হয়তো বাবা- মাকে হারিয়ে কাঁদছে। একজন সচেতনতা দেখাতে পুলিশকে খবর দিয়ে খুব গর্ববোধ করতে লাগলেন। পুলিশ তার চিরায়ত ঘটনা আড়াল করার স্বভাব অক্ষুণ্ণ রাখলো। টেলিভিশন সাংবাদিকদেরও হাজির হতে বেশি সময় লাগল না। এতো মানুষের মধ্যে একজন ও অনতির কষ্টটা বুঝতে পারল না। যে যার পেশাদারিত্বকে ভেবেছে ঘটনা কি তদন্তের চিন্তা করেছে কিন্তু তার ছোট্ট মনের ভালোবাসার জায়গায় কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। আজ অন্তি প্রথমবারের মতো রাস্তায় নামল আর অনুভূতিহীন পৃথিবীকে দেখল।
ক্লিক ক্লিক শব্দে বুঝতে পারলাম সাংবাদিকও জুটে গেছে। কাছে গিয়ে দেখলাম একটি পাঁচ কি ছয় বছরের মেয়ে কেঁদে চলেছে অবিরাম। জিজ্ঞেস করলাম কে তুমি ? কি নাম তোমার ? বাবার নাম কি ? বাসা কোথায় ? আধো আধো গলায় সব প্রশ্নের একটাই উত্তর- প্রজাতি! মুশকিলটা হল এখানেই। সবাই ধরে নিলো মেয়েটার নাম প্রজাতি। আর কিছুই সে বলে না। শুধু-ই কাঁদে।
কাঁধের ব্যাগ হাতড়ে স্কুলের নাম আর একটা ছোট্ট চিরকুটে তার মায়ের ফোন নাম্বার পাওয়া গেল। অগত্যা বাঁচা গেল। কিছুক্ষণ পর সকুলের ম্যাডাম ও খানিক বাদেই হন্ত-দন্ত হয়ে মেয়েটির মা আসলে বিষয়টা জানা গেল। মেয়েটার নাম অনতি। প্রজাপতি তার ভীষণ প্রিয়। প্রজাপতির গল্প শোনা আর আঁকা তার প্রধান কাজ। আজ ক্লাসে ম্যাডাম যখন প্রজাপতির ছবি আঁকতে বলে তখনই তার মনে পড়ে আসার সময় রাস্তার পাশে একটি প্রজাপতিকে দেখেছিল পাখনা ভাঙা অবস্থায়। অনেক কেঁদে কেটেও নির্দয় স্কুল-ভ্যান চালকের অনুমতি পায়নি শুশ্রূষা করার। বোঝাতে পারেনি ম্যাডামকেও তার মনের কষ্টটা। তাই তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে টিফিনের জন্য।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহরটি আসতেই আর দেরি করেনি সে। রাস্তা পারাপারের ভয় বা ম্যাডাম কিংবা ভ্যান চালকের হুমকি কোন কিছুই আর তাকে আটকাতে পারেনি। কিন্তু ততক্ষণে যে তার প্রজাতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাফাতে হাফাতে যখন পৌঁছল অন্তি ততক্ষণে তার প্রিয় প্রজাতি পৃথিবীর মায়া যে ত্যাগ করেছে সেটা তার অবুঝ হৃদয় বুঝতে পারল না। মা যখন দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চেয়ে প্রার্থনা করত অন্তি মাকে বলত এটা করলে কি হয় আম্মু ! মা তখন তার গালে চুমু এঁকে বলতেন বড় হলে বুজবি রে মা। আজ সে কখন যে তার অজান্তেই কতবার আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছে তা নিজেও বুঝতে পারেনি সে।
এ্যাম্বুলেন্স এ্যাম্বুলেন্স করে চিৎকার করেছে। কেউ শোনেনি তার অসহায় আর্তনাদ। কেউ বোঝেনি তার ছোট্ট মনের ব্যাকুলতা। ছেলে-মানুষের ছেলে খেলা হিসেবে অট্টহাসি হেসেছে। কেউ কেউ আবার বলেছে আহা রে বাচ্চা মেয়েটা রাস্তার মাঝে খেলা করছে দেখার কেউ নেই। বাবা মা'য় বা কেমন। অনেকেই ভাবছে সে হয়তো বাবা- মাকে হারিয়ে কাঁদছে। একজন সচেতনতা দেখাতে পুলিশকে খবর দিয়ে খুব গর্ববোধ করতে লাগলেন। পুলিশ তার চিরায়ত ঘটনা আড়াল করার স্বভাব অক্ষুণ্ণ রাখলো। টেলিভিশন সাংবাদিকদেরও হাজির হতে বেশি সময় লাগল না। এতো মানুষের মধ্যে একজন ও অনতির কষ্টটা বুঝতে পারল না। যে যার পেশাদারিত্বকে ভেবেছে ঘটনা কি তদন্তের চিন্তা করেছে কিন্তু তার ছোট্ট মনের ভালোবাসার জায়গায় কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। আজ অন্তি প্রথমবারের মতো রাস্তায় নামল আর অনুভূতিহীন পৃথিবীকে দেখল।
মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১১
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)